সংবাদ রিপোর্ট: নির্বিচারে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতার ছেলেসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা করার পর দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার ভোরে কাউন্দিয়া এলাকায় কফিল ব্রিকসের পাশে ফসলি জমির মাটি কাটার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে, ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার রাতে সাভার মডেল থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী জমির মালিক আলতাফ হোসেন। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন-উপজেলার আলমনগর হাউজিং এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে বশির উদ্দিন মিঠু (৪০) ও কাউন্দিয়া এলাকার মৃত জমসের আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৪৩)। এছাড়া মামলার বাকি আসামিরা হলেন-সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম রিকু (৩৯), মধ্য কাউন্দিয়া এলাকার আব্দুস সাত্তার এলাকার ইউনুস (৪৪) ও বড়দেশী এলাকার মৃত জহিরের ছেলে মামুন (৪২)।মামলার এজাহারে বলা হয়, সাত বছর আগে উত্তর কাউন্দিয়া এলাকায় ৪৭ শতাংশ জমি ক্রয় করেন আলতাফ হোসেন। এরপর বিভিন্ন সময় তার জমি অবৈধভাবে দখল করতে অভিযুক্তরা হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন। এরই জেরে গত মে মাসে ফসলি জমির কিছু অংশের মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করেন অভিযুক্তরা। পরবর্তীতে এ ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করলেও কোনো প্রতিকার পাননি ভুক্তভোগী। উল্টো অভিযুক্তরা তাকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমিনবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ বলেন, কাউন্দিয়া এলাকায় অনেক দিন ধরেই অসহায় কৃষকদের ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটাগুলোতে বিক্রি করে আসছিলো একটি চক্র। এসব চক্রকে মাটি কাটায় সহায়তা করতেন প্রভাবশালী বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম রিকু। সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ায় তার ভয়ে অসহায় জমির মালিকরা প্রতিবাদ করতে পারতো না। তবে ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার একজন মামলা করলে মাটি কেটে নেওয়ার সময় হাতেনাতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার দুইজনকে সোমবার দুপুরে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply