সংবাদ রিপোর্ট: সাভারে ছয় হাজার টাকার জন্য বন্ধু সাকিব আল মামুনকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার আব্দুল আরমান পিয়াসের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে ২৭ মার্চ রবিবার বিকেলে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহারের আদালতে তোলা হলে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সাভার মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও ভবানীপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামি আব্দুল আরমান পিয়াস ওই এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে। তিনি নিহত সাকিব আল মামুনের বন্ধু ছিলেন বলে জানা গেছে। মামলার অপর আসামিরা হলেন- একই এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে ইমন (১৮) ও মিজানুর রহমানের ছেলে নাবিনসহ (১৮) অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে তিনজন। নিহত সাকিব আল মামুন বলিয়াপুরের কুন্ডা কোটপাড়া এলাকার কাঞ্চন মিয়ার ছেলে। তিনি আমিন বাজার এলাকার মিরপুর মফিদ-ই-আম স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পুলিশ জানায়, পথচারীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের কোটাপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মামুনের গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ১৭ মার্চ নিখোঁজ হয়েছিলেন মামুন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় রাতেই নিহতের বড় ভাই রাকিব মিয়া তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মরদেহ উদ্ধারের তিন ঘণ্টার মধ্যেই অভিযান পরিচালনা করে প্রধান আসামি আব্দুল আরমান পিয়াসকে গ্রেপ্তার করেন সাভার মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান। পরে রিমান্ড চেয়ে দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। নিহত সাকিব আল মামুনের বড় ভাই রাকিব বলেন, আমার ভাই মোটরসাইকেল কিনে চেয়েছিল। আমাদের সামর্থ্য না থাকায় পরে কিনে দিতে চাই। সে নিজেই মোটরসাইকেল কেনার জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি চাকরি নিয়ে টাকা জমানো শুরু করে। সেই জমানো টাকা থেকে পিয়াস ছয় হাজার টাকা ধার নেয়। এই টাকা চাইলে তারা মামুনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৭ মার্চ তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এরপর কোটাপাড়া এলাকার কাশেমের নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ ফেলে দেয়। গত ১৭ মার্চ থেকে আমাদের পরিবারের কারও চোখে ঘুম নেই। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে আমরা থানায় নিখোঁজের জিডি করি। সাভারের ভবানীপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান বলেন, পিয়াসের কাছ থেকে সাকিব টাকা পেতেন। এই টাকা চাইলে পিয়াস তার সহযোগীদের নিয়ে সাকিবকে হত্যা করেন। হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply