সংবাদ রিপোর্ট : পাইপ লাইন সংস্কারের জন্য সাভারে তিতাসের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে বাসা-বাড়িতে গ্যাস না থাকায় বিপাকে পড়েছেন গৃহিণীরা। ঘুম থেকে উঠে গ্যাস না পেয়ে অনেকেই রান্না-বান্না বন্ধ রেখেছেন। কেউ আবার বিকল্প ব্যবস্থায় রান্নার কাজ সারছেন। ৪ মে বুধবার সকাল থেকে সাভার-আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়ে। আশুলিয়ার বাড়ইপাড়া এলাকা গৃহবধূ নারগিস আক্তার বলেন, ঈদের সময় ভালো-মন্দ রান্না করব। এসময় তিতাসের গ্যাস লাইন বন্ধ। এখন ভালো মন্দ তো দূরের কথা, ভাত খাওয়াই তো প্রায় বন্ধ। বাধ্য হয়ে কোনো রকম ইট দিয়ে চুলা বানিয়ে রান্না করার চেষ্টা করতাছি। একই এলাকার পোশাকশ্রমিক সাহিদ বেগম বলেন, একো তো বৃষ্টি, তার ওপর গ্যাস বন্ধ। ইট বসিয়ে কোনো রকমে রান্না বসাইছি। তাও পড়ানোর কাঠ নাই। কেমনে রান্না করুম।
সাভারের ধামসোনা ইউনিয়নের জনবহুল গাজীরচট এলাকার বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে ঘুরে দেখা যায়, গৃহিণীরা গ্যাস লাইনের চুলা জ্বালানোর চেষ্টা করেও কাজ হয়নি। গৃহিণী আফসানা বেগম ক্ষোভ নিয়ে বলেন, তিতাসের বিল তো বাকি রাখি না। হঠাৎ করে ঈদের সময় গ্যাস বন্ধ করে দিছে। মেহমান আসছে, তাদের খাওয়াতে পারছি না। রাতে রান্না করা পায়েস ছিল, তাই খাইছি। সিলিন্ডারের গ্যাসের দামও বেশি। আমরা চাই ২৪ ঘণ্টা গ্যাসের ব্যবস্থা থাকবে। এভাবে তো বাসার ভাড়াটিয়াও থাকবে না। একই এলাকার রহিমা খাতুন আক্ষেপ করে বলেন, আমার দুটো শিশু বাচ্চা। তাদের তো খাওয়ানো লাগবে। সকাল থেকে গ্যাস নাই। কিভাবে কী করমু। তাও আবার দুই দিন থাকবে না গ্যাস। ৫-৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকলেও কোনো রকম হতো। এদিকে ঈদের দিন রাত ১০টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল তিতাস কর্তৃপক্ষ। মূল লাইনে সংস্কার কাজ চলার কারণে সাভার-আশুলিয়া ও ধামরাইসহ এর আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বিছিন্ন রয়েছে বলে জানায় তিতাস।
Leave a Reply