সংবাদ রিপোর্ট: পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাভারের বনগাঁও ইউপির নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাল ভোট, হামলা ও নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন মোল্লা। কারচুপির অভিযোগ তুলে তিনি পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। আওলাদ হোসেন মোল্লা বলেন, ‘৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সাভারের ৮ নম্বর বনগাঁও ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল ইসলামের পক্ষে ব্যাপক জালিয়াতি করা হয়। তিনি নিজে উপস্থিত থেকে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় সকাল হতে কেন্দ্র দখল করে বিভিন্ন কেন্দ্রে তার মনোনীত এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেন।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচন চলাকালে তাকেও নৌকার প্রার্থী লোকজন দিয়ে দুপুর ১টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখেন। এ বিষয়ে আমার এজেন্ট ও কর্মীরা দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করতে গেলে তিনি তা আমলে নেননি। আমি আটক থাকার সময় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ভোটারদের উপস্থিতি ছাড়াই ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্সে ভর্তি করেন। পরবর্তী সময়ে সেই কেন্দ্রে ৯৫.৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে বলে প্রকাশ করা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন অনেক ভোট গণনা করা হয়েছে যেসব ভোটার এরই মধ্যে মারা গেছেন এবং কিছু সংখ্যক ভোটার প্রবাসে অবস্থান করছেন। যা স্থানীয় কেন্দ্রের মুড়িবই তলব করলে সহজে প্রমাণ করা সম্ভব। আমি জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের জানালেও তারাও কোনো ব্যবস্থা নেননি।’
যেসব কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতি ও কারচুপি হয়েছে সেখানে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেসব কেন্দ্রে দখল ও কারচুপির ঘটনা ঘটেছে সেসব কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার বাস্তবায়নের অধিকার চাই। যেসব কেন্দ্রে সমস্যা হয়েছে আগেই সেসব কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে আমি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করি। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ বিষয়ে বনগাঁও ইউপির নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন, মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন
Leave a Reply