আশুলিয়া প্রতিনিধি: আশুলিয়ায় একটি চায়ের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ইউপি সদস্য হারুন-অর-রশিদ উজ্জলের বিরুদ্ধে। হামলায় বাঁধা দেয়ায় এসময় দোকানী সুমি বেগম ও তার মেয়েকে মারধরসহ শ্লীলতাহানী করে উজ্জল ও তার সহযোগীরা। এঘটনায় ভুক্তভোগী সুমি বেগম বিষয়টি জানিয়ে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।এছাড়া বিনা কারনে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটসহ মা-মেয়েকে মারধার ও শ্লীলতাহানীর ঘটনায় বিতর্কিত ইউপি সদস্য হারুন-অর-রশিদ উজ্জলের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছে বিক্ষোদ্ধ এলাকাবাসীরা। এসময় তারা আশুলিয়ার ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হারুন-অর-রশিদ উজ্জলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান। লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১ মে সকাল ১১টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আশুলিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য হারুন-অর-রশিদ উজ্জল, মোরাদ হোসেন, ছোট মিঠু, হানিফ মিয়া, সুমন, আলিফ, মাহাবুব হোসেনসহ অজ্ঞাত পরিচয় ৮-১০ জন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র ও লাঠি-সোঠা নিয়ে আউকপাড়া এলাকার লিটনের বাসায় ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করতে থাকে। এসময় লিটনের স্ত্রী সুমি বেগম্য গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় হারুন-অর-রশিদ উজ্জল, মোরাদ হোসেন, ছোট মিঠু ও হানিফ মিয়া ঘরের ভিতর ঢুকে ওই নারীকে মারধর করে টেনে হিচড়ে বাহিরে বেড় করে নিয়ে আসে। একপর্যায়ে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ভুক্তভোগীর মেয়ে রিতা ঘর থেকে বের হয়ে হামলাকারীদের বাঁধা দেয়। এঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে হামলাকারীরা ওই নারীর মেয়েকেও মারধর করে এবং জামাকাপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানির করে। পরে তাদের চিৎকারে এলাকাবাসীরা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ হুমকি দিয়ে চলে যায়।
ভুক্তভোগী সুমি বেগম বলেন, উজ্জল মেম্বার লোকজন নিয়ে আমার দোকানে এসে ভাংচুর করেছে। আমার স্বামীকে গালিগালাজ করেছে। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকেও টেনে হিচড়ে ঘর থেকে বের করে মারধর করেছে। এসময় আমার মেয়ে বাঁধা দিলে কয়েকজন মিলে তাকেও মারধর করে টানা হেচরা করেছে এবং তার জামাকাপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানি করেছে। উজ্জল মেম্বার জিআই পাইপ হাতে ছিলো এং অন্যান্যদের হাতে লাঠি-সোঠা, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র ছিলো। তারা আমার দোকানে থাকা বিশ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য হারুন-অর-রশিদ উজ্জল বলেন, একটি চক্র আউকপাড়া এলাকার লোকজনের কাছ থেকে প্লট প্রতি পনের’শ টাকা চাঁদা তুলছিলো। যেহেতু আমি মেম্বার তাই অনেকেই আমার কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করায় আমি চাঁদা দিতে নিষেদ করেছি। এঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে চাঁদা আদায়কারীরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। যা পরবর্তীতে থানা পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগটি মিথ্যা সাজানো বলে জানতে পেরেছে। এছাড়া ঝাড়ু মিছিলের বিষয়ে জানতে চাইলে উজ্জল মেম্বার বলেন, ঝাড়ু মিছিল কবে কোথায় হয়েছে জানিনা। তবে এগুলো এডিট করে করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল-মামুন কবির বলেন, আউকপাড়া এলাকায় একটি হামলার ঘটনায় ৯৯৯ এ কল করা হলে একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে চলে আসে। তবে এবিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ হয়েছে কিনা সেটা আমার জানা নাই।
Leave a Reply