ক্রীড়া ডেস্ক : এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো এই পুরস্কার জিতলেন আর্জেন্টাইন তারকা। কী এই ব্যালন ডি অর? কেন এটি নিয়ে এত আলোচনা? খেলোয়াড়দের কাছেই বা কেন ব্যালন ডি অর এত সম্মানের?ব্যালন ডি অর ফুটবলারদের ব্যক্তিগত নৈপুন্যের জন্য দেওয়া সবচেয়ে প্রাচীন পুরস্কার। ১৯৫৬ সালে ফরাসি ক্রীড়া লেখক ও সাংবাদিক গাব্রিয়েল আনো এই পুরস্কারটির পরিকল্পনা করেন। পূর্ববর্তীবছরে যে পুরুষ খেলোয়াড়টি সবচেয়ে ভালো ফুটবল খেলেন, তাকেই দেওয়া হতো এই পুরস্কার।প্রথম ব্যালন ডি অর জেতেন স্ট্যানলি ম্যাথুস। অনেকটা ঘরোয়াভাবেই তার হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কারটি। এখন এটি বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত পুরস্কারগুলোর একটি।শুরুর দিকে কেবল ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়কে পুরস্কার দেওয়ার নিয়ম ছিল। ১৯৯৫ সাল থেকে ইউরোপে খেলা বিশ্বের যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য পুরস্কারটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০০৭ সাল থেকে সেটি দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের যেকোনো জায়গায় খেলা ফুটবলারকে।এই বছরের ব্যালন ডি অর পুরস্কারের ভোটাভুটিতে অংশ নিয়েছেন সারা বিশ্বের ১৭০ জন ফুটবল সাংবাদিক। তারা নিজেদের পছন্দের ক্রমানুসারে মোট পাঁচজন ফুটবলারকে ভোট দিয়েছেন। পরে তাদের ভোটের গড় ফলে বেছে নেওয়া হয়েছে ব্যালন ডি অর জয়ীকে।১৯৫৬ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্তও ফুটবল সাংবাদিকদের ভোটাভুটিতে এটি নির্ধারিত হতো। ২০০৭ সাল থেকে জাতীয় ফুটবল দলসমূহের কোচ ও অধিনায়কদেরকেও ভোটাধিকার প্রদান করা হয়। কারণ তখন ফিফার সঙ্গে চুক্তিতে যায় ফ্রান্স ফুটবল। পুরস্কারটির নাম হয় ‘ফিফা ব্যালন ডি অর’। পরে ২০১৬ সালে আবারও আলাদা হয়ে যায় তারা।প্যারিসের আলো ঝলমলে থিয়েটার ডু চ্যাটেলেটের অডিটোরিয়ামে গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে সপ্তম ব্যালন ডি’অর গ্রহণ করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।৩৪ বছর বয়সী মেসি বছরের প্রথম ভাগে বার্সেলোনার হয়ে ছিলেন দুরন্ত ফর্মে। এরপর আর্জেন্টিনার হয়ে জিতেছেন পরম আরাধ্য কোপা আমেরিকা শিরোপা। সেই আসরে সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টদাতা ছিলেন মেসি। টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কারও উঠেছিল তাঁর হাতেই।নানা নাটকীয়তা শেষে মেসি বার্সেলোনা ছেড়েছেন এরপর। নতুন ক্লাব পিএসজি’তে এরই মধ্যে নিজেকে মানিয়েও নিয়েছেন তিনি। মেসির হাত ধরেই প্রথমবারের মতো পিএসজি’র ঘরে এসেছে ব্যালন ডি’অর।ফ্রেঞ্চ ফুটবল ম্যাগাজিন দিয়ে থাকে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার। তারা প্রথমে ৩০জন ফুটবলারকে বাছাই করে পুরস্কারের জন্য। এরপর ১৮০ জন নির্বাচিত সাংবাদিকের ভোটে ৩০ জন থেকে কমিয়ে তালিকাটা ছোট করে আনা হয় ৫ জনে।এরপর এই ৫ জনের মধ্য থেকে সেরা ফুটবলার বাছাই করা হয় ৫০ জন বিশেষ সাংবাদিকের ভোটে। এ জায়গায় পয়েন্ট সিস্টেম রাখা হয়। ভোটাররা তাদের পছন্দের সেরা ফুটবলারকে নাম্বার দেবেন ৬, এরপর ৪, ৩, ২ এবং ১ করে। একইভাবে নারী ফুটবলার, সেরা উদীয়মান এবং সেরা গোলরক্ষক নির্বাচন করা হয়।ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর সপ্তমবারের মতো জিতলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি।
Leave a Reply