আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজই দুপুর বেলা শিক্ষকদের আন্দোলন এবং কোটা আন্দোলনে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে। কোটা আন্দোলন আগেও ছিল এখনো আছে। তাদের ওপর ভর করে আন্দোলন করছে বিএনপি। পরনির্ভর হলে আন্দলন হয়? তারা ভয় দেখায় ভারত নিয়ে, তারা বলে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া হয়ে গেল। তারা বলে শেখ হাসিনা ইন্ডিয়া গেলে কিছুই আনতে পারেন না। ৬৮ বছরের সীমান্ত সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে ২৫ বছরের মৈত্রী চুক্তি ছিল বলে ছিটমহল সমস্যা ও সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে। গঙ্গা নদীর পানি আমরা বুঝে পেয়েছি। ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়া (প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে) তিন হাজার জামদানি শাড়ি নিয়ে ইন্ডিয়া গেছেন। চাকর-বাকর থেকে শুরু করে সবাইকে সমানে সমানে বিতরণ করেছে। ফিরে আসার পর তার কাছে গঙ্গার পানি নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গঙ্গার পানির কথা বলতে ভুলে গেছি’। গঙ্গার পানির কথা বলতে ভুলে যায়! কোন মুখে এখন বিএনপি নেতারা তিস্তার পানির কথা বলেন। তিস্তা নদীর হিস্যা ও অভিন্ন নদীর পানির হিস্যা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই আনবেন। কারও কথায় বাংলাদেশ ইন্ডিয়া হবে না। ৫৩ বছরে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া হয়ে যায়নি। তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি চুক্তির পর খালেদা জিয়া বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ফেনী পর্যন্ত বাংলাদেশ থাকে কি না। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ফেনী পর্যন্ত ইন্ডিয়া হয়ে যাবে। হয়েছে? বেগম জিয়া বলেছিলেন, আওয়ামী লীগে ভোট দিলে মসজিদে উলুধ্বনি হবে, আজান হবে না, হয়েছে? তারা অবান্তর কথা বলে। রিজার্ভ বেড়ে গেছে, রেমিট্যান্স বেড়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মনে রাখবেন বঙ্গবন্ধু হত্যার পর শেখ হাসিনার মতো এতো সৎ, দক্ষ, পরিশ্রমী, কূটনৈতিক নেতা বাংলাদেশে একজনও আসেনি। বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন স্বাধীনতা, শেখ হাসিনা এসেছেন মুক্তি দেওয়ার জন্য। সেই মুক্তির সংগ্রাম বাংলাদেশে আজও চলছে। ২০৪১ সাল, তারপর ২১০০ সাল। শেখ হাসিনার টার্গেট অনেক লম্বা। আমরা তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ গড়ার লড়াই করে যাচ্ছি।
ওবায়দুল কাদের নেতা-কর্মীদের বলেন, আবারও খেলা হবে, বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খেলা হবে। আবারও খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, অর্থপাচারের বিরুদ্ধে। আগুন নিয়ে আসবা, খেলা হবে। আগুন নিয়ে এলে খবর আছে। ‘বড় বড় পাতিল দিয়ে সাত দিন ধরে রান্না-বান্না, মশার কয়েল নিয়ে শুয়েছিল রাস্তার ওপর। ২৮ অক্টোবর পল্টন থেকে পালাল কারা? এক মিনিটে বিএনপির মঞ্চ খালি। তারা (ক্ষমতায় থাকতে) নিয়ে আসছে জজ মিয়ার নাটক। পরে নিয়ে এলো মিয়া আরেফি নাটক। বাইডেনের উপদেষ্টা বলে বিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে ইংরেজিতে। পরে দেখা গেলো ভুয়া। যখন তাকে এয়ারপোর্টে পুলিশ ধরলো, পুলিশের ডান্ডা খেয়ে আর ইংরেজি বলে না। বলে বরিশালের ভাষায় কথা। ’ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে কাদের বলেন, দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই হবে। শেখ হাসিনার যে অঙ্গীকার আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেই ছাড়বো। একটা কথা বলি, মন্ত্রী যদি সৎ হয়, সচিব যদি সৎ হয়, ওই মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি হবে না। আমরা জনপ্রতিনিধিরা সৎ হলে দুর্নীতি পালিয়ে যাবে।
আলোচনা সভায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা ১৯ এর সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম, সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, তেঁতুলঝরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমরপ্রমুখ।
Leave a Reply