সংবাদ ডেস্ক : ফরিদপুরে প্রশাসনের শক্ত অবস্থানের কারণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই দুটি উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। বেসরকারি ফলাফলে ১৩টি ইউনিয়নের ১০টিতেই হেরেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। ৭টিতে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী-স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং ২টিতে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত স্বতন্ত্র ও ১টিতে সাধারণ স্বসতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। আর ৩টিতে জয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) জেলার বোয়ালমারী উপজেলার ১০টি ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ৩টিসহ মোট ১৩টি ইউনিয়নে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষে রাতে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। বোয়ালমারী উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ীরা হলেন- বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা আব্দুল হক (স্বতন্ত্র-বিদ্রোহী), সাতৈর ইউনিয়নে বিএনপি নেতা (স্বতন্ত্র) রাফিউল আলম মিন্টু, দাদপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মো মোশাররফ হোসেন মুশা (বিদ্রোহী-স্বতন্ত্র), ঘোষপুর ইউনিয়নে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য (বহিষ্কৃত) মো. ইমরান হোসেন নবাব (বিদ্রোহী-স্বতন্ত্র), ময়না ইউনিয়নে আব্দুল হক মৃধা (বিদ্রোহী-স্বতন্ত্র), পরমেশ্বরদী ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য (বহিষ্কৃত) মান্নান মাতুব্বর (বিদ্রোহী-স্বতন্ত্র), চতুল ইউনিয়নে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) (বিদ্রোহী-স্বতন্ত্র) মুহম্মদ রফিকুল ইসলাম। শেখর ইউনিয়নে মো. কামাল হোসেন (নৌকা), রুপাপাত ইউনিয়নে মিজানুর রহমান সোনা মিয়া (স্বতন্ত্র), গুনবহা ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)।
বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রির্টানিং কর্মকর্তা এবিএম আজমল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আলফাডাঙ্গা উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের মধ্যে পাচুড়িয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান (নৌকা), বানা ইউপিতে ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি (বহিষ্কৃত) শরীফ হারুন অর রশিদ (বিদ্রোহী-স্বতন্ত্র), টগরবন্ধ ইউপিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া আসাদুজ্জামান (নৌকা) বিজয়ী হয়েছেন।আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমাদ জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দুই উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণে নেওয়া হয় নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভোটারদের নিরাপত্তা ও ভোটকেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি।
Leave a Reply