সংবাদ ডেস্ক: দ্বিতীয়বারের মতো মুন্সিগঞ্জ-গজারিয়া নৌপথে মেঘনা নদীতে ফেরি পারাপার কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (বেলা পৌনে ১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস উপজেলার কাজিপুরা ঘাটে ফেরি চলাচলের উদ্বোধন করেন। মৃণাল কান্তি দাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার বছর আগে এই নৌপথে ফেরি দিয়েছিলেন। কয়েক মাস চলার পর ফেরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গজারিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ফেরি দিয়েছেন। এতে এ অঞ্চলের কাজে আবার গতি ফিরে আসবে। জেলার সঙ্গে সহজে গজারিয়া উপজেলাবাসী যাতায়াত করতে পারবে। এ ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য, চিকিৎসাসেবা আরও সহজ হবে। এর আগে ২০১৮ সালের ৪ জুন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) নিজস্ব অর্থায়নে ২৯ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘স্বর্ণচাপা’ ও ‘সন্ধ্যামালতি’ নামের দুটি ছোট ফেরি দিয়ে ফেরি পারাপার সার্ভিস চালু করা হয়। তবে ঘাটের দুই পাড়ের সরু ও খানাখন্দে ভরা সড়ক এবং যাত্রী ও পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় উদ্বোধনের ছয় মাসের মধ্যে ফেরি সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়। পরে ওই দুই ফেরি আরিচা ঘাটে পাঠানো হয়। বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জ-গজারিয়া নৌপথে ফেরি চালু হওয়ায় দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার সঙ্গে চট্টগ্রামের দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার কমবে। পদ্মা সেতু হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে মোংলা ও পায়রা বন্দরে সহজে যাতায়াত করা যাবে। দেড় কিলোমিটার দূরত্বের এ নৌপথে ফেরি পারাপারে সময় লাগবে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট। প্রতিটি ফেরির ধারণক্ষমতা ১০০ মেট্রিক টন। নতুন করে ফেরি চালু হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন দুই পারের যাত্রীরা। স্থানীয় কয়েকজন যাত্রী বলেন, আবার ফেরি সার্ভিস চালু হওয়ায় সবাই খুব আনন্দিত। দুই পারের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আর যেন ফেরি সার্ভিস বন্ধ না হয়। এতে যদি সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয়, সেটিও দেওয়ার অনুরোধ জানান স্থানীয় লোকজন। বিআইডব্লিটিএর সহকারী প্রকৌশলী মো. মহসিন মিয়া (নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল) বলেন, দ্বিতীয়বারের মতো ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। ফেরি সচল রাখতে হলে এ নৌপথে যানবাহনের সংখ্যা বাড়াতে হবে বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, গজারিয়ার মানুষের সার্বিক উন্নতির জন্য আবার ফেরি চালু করা হয়েছে। বহরে দুটি ফেরি আছে। আরও একটি আসছে। তিনটি ফেরি দিয়ে যাতায়াত সচল রাখা হবে। পরে প্রয়োজন হলে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে।
Leave a Reply