ডাকাতির কৌশল সম্পর্কে তিনি বলেন, গ্রেফতাররা প্রথমে বিভিন্ন পোশাক কারখানায় সিকিউরিটি গার্ড (নিরাপত্তাকর্মী) হিসেবে চাকরি নেন। পরে কারখানার সব তথ্য সংগ্রহ করেন। একপর্যায়ে দলের অন্যান্যদের নিয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা করেন। টার্গেট করা কারখানার অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীদের রশি দিয়ে হাত-পা ও কাপড় দিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি করতেন তারা। যে কারখানা বন্ধ থাকতো সেখানে তালা ভেঙে মূল্যবান যন্ত্রাংশ নিয়ে যেতেন। অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নোমান ছিদ্দিক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি বাসাবাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পাই। পরে পুলিশের দুই সদস্য নিয়ে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সাতজনের বেশি ডাকাত অবস্থান করছেন। এসময় তারা আক্রমণাত্মক হয়ে গেলে একজনকে ধরে হাতকড়া পরিয়ে জানালার গ্রিলের সঙ্গে আটকে দেই। পরে এক এক করে সবাইকে আটক করতে সমর্থ হই। এসময় ২-৩ পালিয়ে যান। পরবর্তী সময় অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে তাদের থানায় আনা হয়। তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।