সংবাদ রিপোর্ট : সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারি হিসেবে পরিচিত হাসিনা দৌলা এখন রাজনীতির মাঠে নেই, তাকে দেখা যায় না সাংগঠনিক কোনো কর্মসূচীতেও। এক সময়ের ধনাঢ্য হাসিনা দৌলা আছেন অর্থ সংকটেও। বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শরীরে বাসা বেঁধেছে রোগ। জানা গেছে, মাইক্রো ইলেকট্রনিক্সের মালিক হিসেবে পরিচিত হাসিনা দৌলার বাড়ি জামালপুর জেলায়। ১৯৯৮ সালে সাভার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। দলের হাইকমান্ডে তার সুখ্যাতি ছিল। ২০০১ সালের দলের মনোনয়ন চেয়ে পাননি। দায়িত্ব পান সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির। এর পর বিএনপি সরকারের সময়ে দুই হাতে টাকা উড়িয়েছেন সংগঠনের জন্য। নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছেন ছায়ার মতো। উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রের কর্মসূচীতেও তার অংশগ্রহন ছিল চোখে পরার মতো। জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসলে প্রতিবারই স্বপ্ন দেখতেন দলের মনোনীত প্রার্থী হওয়ার। তবে, দল তাকে সেই সুযোগ দেয়নি। এর মধ্যে ব্যাংক ঋণে জর্জরিত হন তিনি। বন্ধ হয়ে যায় স্বনামধন্য মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স। এক পর্যায়ে তাকে ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে সিন্ডিকেটের চক্করে পরলে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এ পর্যায়ে হাতছাড়া হয় চেয়ারম্যান পদটিও। তার পিছনে হেটেছেন- তার টাকায় চলেছেন এমন অনেকে রাজনীতির সামনের সারিতে থাকলেও পিছিয়ে পড়েছেন তিনি। অর্থের কাছে হার মেনেছে তার পুরানো জৌলুস। সটকে পরেছে পুরানো মুখ। অনেকেই তাকে এড়িয়ে চলেন। সবকিছু বুঝে নিজেকে সামলে নিয়েছেন তিনি। জনপ্রতিনিধি হওয়ার বাসনায় থাকা হাসিনা দৌলাকে অনেকে স্বপ্ন দেখান সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হওয়ার। বারবার গুঞ্জন উঠলেও সেই সুযোগ পাননি তিনি। অনেক ত্যাগের পরও দল সেইভাবে মূল্যায়ন না করায় অনেকটা অভিমানে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন তিনি। এখন আর রাজনীতির মাঠে দৌড়ান না, অংশ নেন না কর্মসূচীতে। এমনকি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রচারনার মাঠেও দেখা মিলেনি তার। সাভারের কুটুরিয়ার বাড়ি ও ঢাকায় মেয়েকে নিয়ে সময় কাটছে তার। মাঝে মধ্যে থাকতে হচ্ছে হাসপাতালে।
Leave a Reply