1. kamruzzaman78@yahoo.com : kamruzzaman Khan : kamruzzaman Khan
  2. ssexpressit@gmail.com : savarsangbad :
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন

ধামরাইয়ে ইউপি নির্বাচনে আটজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০২২

ধামরাই প্রতিনিধি : ঢাকা জেলার মধ্যে শুধুমাত্র ধামরাইয়ের একটিমাত্র ইউনিয়ন সূতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জুন। এ নির্বাচনকে ঘিরে প্রাথমিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। এ নির্বাচনে গতকাল মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ মনোনীত রেজাউল করিম রাজা, সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপিপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী রমিজুর রহমান চৌধুরী রোমা, তার ভাই রাফিজুর রহমান চৌধুরী সুলতান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি রবিউল করিম, আলিমুর রহমান আলীম, সোহেল হায়দার চৌধুরী, তুহিন হোসেন, সালেহ আক্রামসহ আটজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বাছাইপর্বে টিকে গেলে মূলত রেজাউল করিম রাজা ও সাবেক চেয়ারম্যান রমিজুর রহমান চৌধুরী রোমার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। গত ইউপি নির্বাচনেও এ দুজন প্রার্থী মাঠ চষে বেড়াচ্ছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের পূর্বে হামলা-মামলা ও নির্বাচনের দিন রোমাকে ভয়ভীতিসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করেছিলেন রোমা। গত নির্বাচন পরবর্তীতে দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনায় এ নির্বাচনেও সহিংসতার আশঙ্কা করছেন সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান প্রার্থী রোমা। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করছেন রোমাসহ অন্যান্য প্রার্থীরা। বাছাইপর্বে মনোনয়পত্র টিকে গেলে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান চেয়ারম্যান প্রার্থী রবিউল করিম, সোহেল হায়দার চৌধুরী কবিরসহ একাধিক প্রার্থী। রোমা বলেন, গত নির্বাচনে আমার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা মামলা চালিয়ে মাঠ ছাড়া করে দিয়েছিল সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। পুলিশ প্রশাসনও তাদের পক্ষে কাজ করেছেন। তবে এবার যেন সেই দিনের পুনরাবৃত্তি না ঘটে। তিনি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করেন। চেয়ারম্যান প্রার্থী ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে, গত ইউপি নির্বাচনে রোমার জনপ্রিয়তায় ঈর্শ্বান্বিত হয়ে নির্বাচনের চারদিন আগে থেকে রোমা ও তার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য করেন সরকার দলীয় প্রার্থী রাজার সমর্থকরা। ওই সময় রোমার মামাতো ভাই মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান সেন্টু রোমার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনাকালে তাকে বেদম মারপিট করা হয়। নির্বাচনের কিছুদিন পর তিনি মারা যান। এদিকে রোমার আরেক কর্মী শ্রীরামপুর গ্রামের আবুল হাসেম ওরফে হাসমির ছুরিকাঘাতে রাজার কর্মী ঢাকা জেলা যুবলীগের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহিদের নারীভুরি বের হয়ে যায়। তবে তিনি ভাগ্যের জোরে বেঁচে যান। নির্বাচনের পরে বিভিন্ন ঘটনায় জনরোষে হাসমি নিহত হন। এছাড়া নির্বাচনের দিন রোমাকে মারপিট ও গ্রেপ্তারের ভয়ভীতি দেখিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য করা হয়। পরে তিনি পুলিশ প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব ও বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন বর্জন করেন তিনি। বর্তমানে এ নির্বাচনেও এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছেন রোমাসহ তার সমর্থকরা। প্রত্যেক প্রার্থী ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার দাবি জানান তাঁরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ :