ধামরাই প্রতিনিধি : ধামরাইয়ে সূয়াপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মুন্না নামের এক ছাত্রলীগ নেতার পা ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত মুন্নার মা বাদি হয়ে ধামরাই থানায় ১২জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দিয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। তবে ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে। মুন্না মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজের ইংরেজী বিভাগের অনার্সের শেষ বর্ষের ছাত্র। সে সূয়াপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী। ভোক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীদের কাছ থেকে জানা গেছে, সূয়াপুর বাজারে হানিফ আলীর মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকানে রাত নয়টার দিকে বসে গল্প করছিলেন সূয়াপুর দক্ষিণপাড়ার আওয়ামী লীগ নেতা পান্না মিয়ার ছেলে মাহিবুর রহমান মুন্না (২৪)। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এবং এলাকায় অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই সময় দোকানের ভিতর গিয়ে মুন্নার উপর অতর্কিত হামলা চালায় সূয়াপর উত্তরপাড়ার বড় রাসেল ও ছোট রাসেলসহ ১০-১২জন ব্যক্তি। এ সময় তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে শরীরে বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে এবং বাম পা ভেঙে দেয়। এসময় তার ডাক চিৎকারে বাজারের লোকজন এগিয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তাকে মুমূর্ষুাবস্থায় উদ্ধার প্রথমে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে ওই রাতেই তাকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মুন্নার মা হাজেরা বেগম বাদি হয়ে ছোট রাসেল,বড় রাসেল, ইব্রাহিম, আউলাদ, হানিফ,তোতা মিয়া, লেবু মিয়া, সামসুল, জালালসহ ১২জনকে আসামি করে ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে সূয়াপুর এলাকায় গতকাল বিকেলে মুন্নার ওপর হামলাকারীদের শাস্তি ও গ্রেফতারের দাবিতে ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত রবিউল আওয়াল রুবেলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। ধমরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, মুন্নাকে মারপিটের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply