ধামরাই প্রতিনিধ : ধামরাইয়ে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, মানসিক ভারসাম্যহীনতা ও কলহ থেকেই ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৩ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক এসআই আশরাফুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান। ওই নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার ধামরাই উপজেলার কু্ল্লা ইউনিয়নের লাড়ুয়াকুন্ড চকে এই ঘটনা ঘটে। নিহত নাসিমা বেগম কুল্লা ইউনিয়নের নওগাও কায়েত এলাকার জয়নাল আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী। কুল্লা ইউপি সদস্য মো. মহিউদ্দিন বলেন, ২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে সবার অগোচরে লাড়ুয়াকুন্ড চকে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় ওই নারী। এসময় তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ধামরাই হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পথে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে এসআই আশরাফুল বলেন, ওই নারীকে দগ্ধ অবস্থায় প্রথম ধামরাই মেডিকেলে আনা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করা হয়। পথিমধ্যে তার মৃত্যু হলে সন্ধ্যায় লাশ আমাদের কাছে আনেন তার স্বজনরা। ঘটনার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই মহিলার বয়স ফোর্টি আপ। আগের ঘরের সন্তান রেখে সে এই দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্বামীও আগের ঘরের সন্তান রেখে তাকে বিয়ে করেছিলেন। এরপর দ্বিতীয় ঘরের সন্তান থাকলেও তার স্বামী ভরণপোষণ দিতো না। পরে না কি সেই সন্তানকেও তারা দত্তক দিয়েছে। আর মহিলার মানসিক সমস্যা ছিলো। সে তার পরের ঘরের সন্তানকেও গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেছিলো বলে প্রতিবেশীদের কাছে জানতে পেরেছি। এছাড়াও অন্য কোন ঘটনা আছে কি না আমরা তদন্ত করে দেখছি।
Leave a Reply