ধামরাই প্রতিনিধি: ধামরাইয়ে স্কুলের ৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বরখাস্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গ্রেফতার করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে যাদবপুর বিএম স্কুল ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলা করেন। এর পরই বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক আলী হায়দারকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে সোমবার সন্ধ্যার দিকে ধামরাইয়ের ধানতারা বাজারে এলাকাবাসী নিয়োগের নামে বিভিন্ন জনের কাছে টাকা নিয়ে প্রতারণা ও স্কুল-কলেজের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় হায়দারকে গণধোলাই দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। হায়দার ভোলা জেলার ভিদুরিয়া গ্রামের সোলাইমানের ছেলে। অর্থ আত্মসাৎ মামলার অপর আসামি হলেন যাদবপুর ইউনিয়নের ধানতারা গ্রামের সুরজত আলীর ছেলে লিটন মিয়া। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, স্থানীয় লিটনের সহায়তায় হায়দার ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের নামে পাঁচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফি বাবদ ৮ লাখ ৮৪ হাজার ৮৬০ টাকা আদায় করেন। কিন্তু হায়দার ৫ লাখ ৭২ হাজার টাকা রিসিভ দেখান। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকলিমা অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন হায়দার ২ লাখ টাকা জমা করেছেন। বাকি ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৮৬০ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। স্কুল থেকে বারবার বাকি টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য বললে তিনি কালক্ষেপণ করতে থাকেন। এরপরই নানা অপকর্ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে হায়দারকে গত ২ সেপ্টেম্বর ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথমে সাময়িক ও পরে চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত করা হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার বলেন, ২০১৭ সাল থেকে হায়দার অনেক অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। নানা অভিযোগের কারণে তাকে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপরও স্কুলে পিয়ন নিয়োগের কথা বলে তিনি একজনের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুর রহমান মল্লিক বলেন, যাদবপুর বিএম স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক আলী হায়দারসহ দুজনের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আরেক আসামি লিটনকে ধরার চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply