ধামরাই প্রতিনিধি : ধামরাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ঘর দেওয়ার কথা বলে এক জেলের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সোমভাগ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. কালামের বিরুদ্ধে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় যাদের ভূমি আছে ঘর নেই, তাদের বিনা টাকায় গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। সেই ঘর দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তিনি জেলে অনিল রাজবংশীর (৪৫) কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. কালাম উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের নওগাঁও এলাকার মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে। তিনি সোমভাগ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী। ভুক্তভোগী অনিল রাজবংশী (৪৫) একই ইউনিয়নের সোমভাগ গ্রামের আনন্দ রাজবংশীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন জেলে। অনিল রাজবংশী বলেন, এক-দেড় মাস আগে কাগজপত্র আর ৫০ হাজার টাকা দিছি কালাম মেম্বরকে। তিনি সরকারি টিনশেড ঘর করে দিতে চেয়েছেন। দুই রুমের টিনসেড ঘর দেবেন বলে টাকা নিয়েছেন। এখনো কিছু জানান নাই। ঘর আসলে জানায়বো। টাকা নিয়ে ঘর না দিলে কী করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি গরিব মানুষ, আমার টাকা মেরে খাবে না। ঘর না পেলে মেম্বর আমার টাকা ফেরত দিয়ে দেবে বলেছে। মেম্বরের কাছে টাকা দিছি, এর সাক্ষী আমার লগের মানুষই। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. কালামকে ফোন করা হলে তিনি কিছুক্ষণ চুপচাপ থেকে বলেন, আমি আগে অনিলের সাথে কথা বলি। তারপর আপনাকে ফোন দিচ্ছি। পরবর্তীতে আবার ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমি টাকা নিইনি। অনিলকে আমার সামনে জিজ্ঞেস করেন দেখি সে কি বলে? সোমভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রভাষক মো. আওলাদ হোসেন বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেতে কোনো টাকা-পয়সা লাগে না। ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply