ধামরাই প্রতিনিধি : ধামরাইয়ে একটি আঞ্চলিক সড়কের মাটি কেটে লুট করেছে একটি চক্র। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের ডাউটিয়া এলাকার ভাইয়াডুবি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ডাউটিয়া-ভাইয়াডুবি আঞ্চলিক সড়কের প্রায় অর্ধেক অংশ এস্কেভেটর দিয়ে কেটে নিয়েছে একটি প্রভাবশালী মহল। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সড়কটি দিয়ে চলাচল করা প্রায় কয়েকশ মানুষ। সড়কটির একটি অংশের মাটি কাটায় কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে গন্তব্যে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জনসাধারণের চলাচলের জন্য প্রায় ২০ বছর আগে স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে ওই সড়কটি নির্মাণ করা হয়। তবে একটি প্রভাবশালী মহল সড়কটির মালিকানা দাবি করে এর মাটি কেটে নিচ্ছে। সড়কের মাটি কাটার দায়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ডাউটিয়া গ্রামের জাকির হোসেন, জুয়েল রানা, সোহেল রানা ও ফরিদ হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। শরিফুল ইসলাম বলেন, সড়ক ও জনপথের সড়কের মাটি এস্কেভেটর দিয়ে কেটেছে জাকির হোসেন, জুয়েল রানা, সোহেল রানা ও ফরিদ হোসেনসহ তাদের সহযোগীরা। ফলে মালামাল বহন করতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে এলাকাবাসী। জাকির ও তার সহযোগীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস করে না। তবে তারা সড়কের মাটি কেটে যে দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে তার বিচার চেয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের পক্ষ থেকেই আমি অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযুক্ত ফরিদ হোসেন বলেন, যাদের জমি তারাই মাটি কেটেছে। এটা সড়ক ও জনপথের জায়গা নয়, মালিকানা জায়গা। নিজের জমি না হলে এভাবে কি কেউ মাটি কেটে নেয়? যাদের জমি তারা মাটি কেটেছে এতে জনগণের কী! সোমভাগ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজাহার আলী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে ও স্থানীয়দের সহায়তায় কয়েক বছর আগে ওই সড়কটি পুণঃনির্মাণ করা হয়েছিল। সড়কটি কাটায় জনগণের দুর্ভোগ বেড়েছে। যারা এ ধরনের কাজ করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।
সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান প্রভাষক আওলাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যাপারে এলাবাসীর পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। থানা যদি বিষয়টি আমাকে সমাধানের দায়িত্ব দেন তাহলে আমার আন্তরিকতার কমতি থাকবে না। যেহেতু থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে, সেহেতু বিষয়টি থানা দেখবেন। ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মানিকগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গাউস-উল-হাসান মারুফ বলেন, সড়ক ও জনপথের জমি কেউ দখল করতে চাইলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ ব্যাপারে কাউকে কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না।
Leave a Reply