বিশেষ প্রতিনিধি : সাভারের ১১টি ইউনিয়নের নির্বাচন ৫ জানুয়ারি। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হতে মনোনয়ন জমাদান সম্পন্ন হয়েছে ১ ডিসেম্বর। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে সবকটি ইউনিয়নে একাধিক ব্যক্তি সরব। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের সভা করে নাম পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রে। শিমুলিয়ায় মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। আগ্রহীরা লবিং করেন সমানতালে। চেষ্টা তদবিরের কমতি ছিল না কারো। অবশ্য তৃণমূলের সাড়া না পেয়েও অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কথা ভাবছেন। ১৭ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্ধের দিনধার্য হওয়ায় এর আগেই নিশ্চিত করতে হবে নৌকা প্রতীক। অবশ্য ২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক। জানা গেছে, তৃণমূল থেকে প্রার্থীদের নাম পাঠাতে ৩০ নভেম্বর সকালে সাভার উপজেলা অডিটরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভা হয়। এরপর বিকেলে আশুলিয়ার এলাহী কমিউনিটে সেন্টারে আরেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব সভায় প্রতিটি ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ তাদের প্রার্থী মনোনীত করেন। ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলা, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ফারুক হাসান তুহিন সভা সমন্বয় করেন। সভায় উপস্থিত একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা জানিয়েছেন, তৃণমূলের মতামত নিয়ে সাভার সদর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সোহেল রানা, সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল আওয়াল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান,আশুলিয়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদাবর, সাবেক চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন মাদরব, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ সরকার, ঢাকা জেলা (উত্তর) সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগ নেতা তালুকদার মোয়াজ্জেম হোসেন দুলাল,আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য রাজু আহমেদ, ইয়ারপুরে বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ মাষ্টার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান শাহেদ, সাভার উপজেলার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান মেহেদী মাসুদ মঞ্জু, আশুলিয়া থানা আহ্বায়ক যুবলীগের কবীর সরকার, আওয়ামী লীগ নেতা কাদের দেওয়ান, লিয়াকত দেওয়ান, বিরুলিয়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম কামাল, গিয়াস উদ্দিন, শাহিদা বেগম, শিমুলিয়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান এবিএম আজহারুল ইসলাম সুরুজ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রকিবুল ইসলাম বাবুল মাষ্টার, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন খান,আলমগীর কবির মধু, সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল ইসলামের ছোটভাই সাইদুর রহমান ও ফজলুল হক ফরহাদ, মরহুম নূরুল ইসলামের পুত্র মাসুদ আল নূর সজিব, আশুলিয়া আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুছ পালোয়ান, হৃদয় আহমেদ জিয়া, হারুন প্রমানিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সেলিম কবির, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আমির হোসেন জয়, ভাকুর্তা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত হোসেন, হাজি আবু তাহের, বনগাঁও ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা আরিফ উদ্দিন খান, আবু নাসের মো. জামিল মিল্টন ও আমান উল্লাহ, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর, এমদাদুল হক অতুল, আমিন বাজার ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, তার স্ত্রী ওয়াহিদা আনোয়ার, এডভোকেট বশির আহমেদ, খন্দকার আব্দুল হাই, নাসির উল্লাহ, রাজু আহমেদ শ্যামল ও হাজি আম্বর আলী, পাথালিয়া ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম ও পরিবহন শ্রমিক নেতা, সাদিকুর রহমান হিরু, কাউন্দিয়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান খান শান্ত, সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজ মাষ্টার, মেছের আলী ও আতিকুর রহমানের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই কারো সমর্থন না পেয়ে নিজেই নিজের প্রস্তাবক সমর্থক হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের বাইরে বিরুলিয়া, বনগাঁ, ভাকুর্তা, তেঁতুলঝোড়া ও আমিনবাজারে কয়েকজন আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে কেন্দ্রে দোঁড়াচ্ছেন। তারাও হতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।সাভার উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র মতে, সাভার উপজেলা অন্তর্গত ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়েছে ২০১৬ সালের ৪ জুন। আর আইনি জটিলতা কাটিয়ে সাভার সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়েছে একই বছরের ৩১ অক্টোবর। সরকারি হিসাব মতে সবকটি ইউনিয়নের বর্তমান পর্যদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, আমিন বাজারে ভোটার ২৫ হাজার ১৮১ জন। যার মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৬৩১ জন ও মহিলা ১২ হাজার ৫৫০ জন। তেঁতুলঝোড়ায় ৬২ হাজার ৩৪৭ জন, এর মধ্যে পুরুষ ৩৩ হাজার ৯৪৪ জন এবং মহিলা ২৮ হাজার ৪০৩ জন। ভাকুর্তায় ৩২৫৬৭ জন, এর মধ্যে পুরুষ ১৭ হাজার ১২৯ জন ও মহিলা ১৫ হাজার ৪৩৮ জন। কাউন্দিয়ায় ১৯ হাজার ৮৫৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ২৪ জন এবং মহিলা ৯ হাজার ৮৩২ জন, বিরুলিয়ায় ২৬ হাজার ৮৭৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৪ হাজার ১২০ জন এবং মহিলা ১২ হাজার ৭৫৭ জন। সাভার সদর ইউনিয়নে ৩১ হাজার ৪৭০ জন, এর মধ্যে পুরুষ ১৬ হাজার ৫৮৭ জন এবং মহিলা ১৪ হাজার ৮৮৩ জন। বনগাঁও এ ২৫ হাজার ৯৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৩ হাজার ৩৫৪ জন এবং মহিলা ১২ হাজার ৫৮৬ জন। শিমুলিয়ায় ৬৪ হাজার ২৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৩ হাজার ২৮৯ জন এবং মহিলা ৩০ হাজার ৯৮৩ জন। ধামসোনায় ১৯ হাজার ৯৩৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৯ হাজার ৭৬০ জন। এবং মহিলা ১৯ হাজার ৬৩৮ জন।ইয়ারপুরে ৯৪ হাজার ১৯২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫০ হাজার ৩৪৩ জন এবং মহিলা ৪৩ হাজার ৮৪৯ জন। আশুলিয়ায় ৭৮ হাজার ৪১১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪১ হাজার ২৭৮ জন এবং মহিলা ৩৭ হাজার ১৩৩ জন। পাথালিয়ায় ৬৫ হাজার ৭৯০ জন। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৯৪২ জন এবং মহিলা ৩২ হাজার ৮৪৮ জন। অবশ্য ভোটার তালিকায় নতুন ভোটারদের নিয়ে যোগ করে ভোটার বেড়েছে বলে জানা গেছে।