সংবাদ রিপোর্ট : সাভার পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গেন্ডা মহল্লায় ১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় গেন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সাভার উপজেলার ১২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে এর স্থান তৃতীয়। ৫২ শতাংশ জমির ওপর স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গেণ্ডা, উলাইল ও আশপাশ গ্রামের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার একমাত্র বিদ্যাপীঠ হিসেবে এর পরিচিতি ঘটে। সময় পরিক্রমায় অনেক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও এই স্কুলের গুরুত্ব কমেনি। তবে নানা কারণে অবহেলিত এই স্কুলটি এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। দখল ও দুষণের কারণে এর সামনে থাকা খাল অস্তিত্ব হারিয়েছে অনেক আগেই। দৃশ্যমান নালা দিয়ে মিল কারখানার বর্জ্যের বহমান স্রোতের কারণে স্কুল মাঠটি বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এর মধ্যে ভেঙে গেছে গাইড ওয়াল বা সীমানা প্রাচীর। এর ফলে নালার মধ্যে পড়ার ঝুঁকি ও দুর্গন্ধের কারণে স্কুলে কোমলমতি শিশুর সংখ্যা দিন দিন কমছে। স্কুলে টিনের জরাজীর্ন একটি কক্ষ এবং টিনশেড যে ভবন রয়েছে তা অনেকটাই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্কুলটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার আবেদন করেও কাঙ্খিত সাড়া পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা।
গেন্ডা মহল্লার বাসিন্দারা জানান, শিল্প কারখানার কারণে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তার সুনাম হারিয়েছে। স্কুল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে বড় বড় মিল কারখানা। যার শব্দ দূষণের কারণে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে স্কুল মাঠে পানি উঠে যায়। সামনের রাস্তা খানাখন্দ। মিল কারখানার বর্জ্যরে দুর্গন্ধের কারণে ভেতরে টেকা দায় হয়ে পড়েছে। নির্বাচনের সময় নারী ভোটারদের কেন্দ্র হিসেবেও স্কুলটির গুরুত্ব অনেক। সার্বিক বিবেচনায় স্কুল রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্ব দেয়া উচিত বলে মনে করেন স্থানীয়রা। এ প্রসঙ্গে গেন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লাকী আহমেদ জানান, বৈশ্বিক মহামারি করোনার পর এবং পরিবেশের কারণে শিক্ষার্থী কমছে। নতুন ভবন নির্মাণ করা না হলে স্কুলটির ভবিষ্যত ঝুঁকি আরো বাড়বে।
Leave a Reply