সংবাদ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল হাজারীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা। শোকবার্তায় তারা তার আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোক প্রকাশ করেছেন- সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ূন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, পল্লী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক, প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। এর আগে বিকেলে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন জয়নাল হাজারী। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। ব্যক্তি জীবনে তিনি চিরকুমার ছিলেন।
ল্যাবএইড হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা মেহের এ খোদা জানান, সোমবার বিকেল আনুমানিক সোয়া ৫টায় কার্ডিয়াক বিভাগে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয়নাল হাজারীর মৃত্যু হয়। তিনদিন আগে তিনি হৃদরোগসহ নানা সমস্যা নিয়ে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সোহরাব উজ্জামানসহ একাধিক চিকিৎসকের অধীনে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার চিকিৎসা চলছিল। সোমবার সকালে তিনি আরেক দফা হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং লাইফ সাপোর্টে থাকাবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ ১৯৮৪ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ফেনী সদর আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি আঞ্চলিক দৈনিক হাজারিকা প্রতিদিন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা, প্রকাশক এবং সম্পাদক ছিলেন।
Leave a Reply