সংবাদ ডেস্ক : দেশে বিদ্যমান জুয়া আইনে শাস্তি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)। সেই প্রস্তাবের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।২০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চলমান ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় তথা শেষদিনের অষ্টম অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ আশ্বাস দেন। জননিরাপত্তা বিভাগ এবং সুরক্ষা সেবা বিভাগের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ অধিবেশন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন। ডিসিদের কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, যে গতিতে প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনা করছেন, এটা ধরে রাখতে হলে আমাদের অবশ্যই সিকিউরিটি বা সুরক্ষা সাসটেইনেবল হতে হবে। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। আমরা এরইমধ্যে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে পারার বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি বলেন, ৯৯৯ সেবামূলক যে নম্বর রয়েছে আমাদের, এটা পৃথিবীর অনেক দেশেই রয়েছে। আমাদের ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, বিজিবি, পুলিশ সবগুলো বাহিনীর প্রশিক্ষণসহ জনবল ও দক্ষতা বাড়াতে আমরা প্রয়োজনীয় কাজ করছি। আমরা চাচ্ছি, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বিশ্বমানের হবে। এটাই ছিলো তাদের সাথে কথা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের (ডিসি) ছোটখাটো প্রশ্ন ছিলো। যেগুলো আমরা এখনই করতে পারবো বলেছি, করেও ফেলবো। আর যেগুলো করতে একটু সময় লাগবে সেগুলোর কাজ করছি। তিনি বলেন, আরেকটি কথা এসেছিলো, জুয়া আইন সংশোধনের একটি প্রস্তাব তারা এনেছিলো। তাদের প্রস্তাব ছিলো এটার শাস্তি বাড়ানো যায় কি না। এ আইনটি ব্রিটিশ আমলের, যেটা আমরা এখনো ফলো করছি। এ আইন কোথা থেকে বা কিভাবে হয়েছিলো আমাদের কাছে সেটার তথ্য ছিলো না। আমরা এটা খুঁজে বের করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই আইনটিকে হালনাগাদ করতে ব্যবস্থা নেবো। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, আমাদের ডিসি-এসপি যারা এই প্রশাসনের কাজে নিয়োজিত, সবাই মিলেমিশে একসাথে কাজ করবে- এটাই ছিলো আমাদের আজকের মূল কথা। দণ্ডবিধির ২২৮ ধারা মোবাইল কোর্ট তফসিলে যুক্ত করা নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ে কোনো আলোচনা আজ হয়নি। হয়তো কেবিনেট সচিব আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন। আমি শুনেছি এরকম একটা কথা হয়েছে। এ নিয়ে কেবিনেট সচিব ও আইন সচিব মিলে কিছু একটা করবেন।
Leave a Reply