সংবাদ রিপোর্ট: সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করতে না দেয়ায় মূল ফটক ভাংচুর করেছে আগত কয়েক শতাধিক দর্শনার্থী। ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে নবীনগর এলাকায় অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দর্শনার্থীদের হামলায় পুলিশ সদস্যসহ অন্তত সাত জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, আনসার সদস্য জহিরুল, আলমগীর, মোশারফ, পুলিশ সদস্য শামীম ও গণপূর্ত অধিদফতরের কর্মকর্তা টুটুল, দেলোয়ারসহ বেশ কয়েক জন। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে জাতীয় স্মৃতিসৌধ অনেক দিন যাবত বন্ধ রয়েছে। এদিন বিকেলে কয়েক শতাধিক দর্শনার্থী ভেতরের প্রবেশের জন্য মূল ফটকের সামনে অবস্থান করছিল। এ সময় তাদেরকে ভেতরে প্রবেশ করতে না দেয়ায় সেখানে উপস্থিত এক সাংবাদিক উস্কানি দেয়। পরে তাদের মধ্যে একাংশ স্মৃতিসৌধের মূল ফটক ভাংচুর চালিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ, আনসার ও গণপূর্ত অধিদফতরের কর্মকর্তাদের মারধর করে ভেতরে প্রবেশ করে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনার কারণে গত ১৩ জানুয়ারি ২০২২ থেকে স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। সোমবার বিকেলে অর্ধশতাধিক বহিরাগত লোকজন স্মৃতিসৌধে প্রবেশের জন্য স্মৃতিসৌধের দুটি গেটে ভিড় জমায়। এ সময় স্মৃতিসৌধের গেটে দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যরা তাদেরকে স্মৃতিসৌধে প্রবেশে বাধা দিলে তারা স্মৃতিসৌধের গেট ভাঙচুর করে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় স্মৃতিসৌধে দায়িত্বরত পুলিশ, আনসার সদস্য ও বহিরাগতদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন। জাতীয় স্মৃতিসৌধের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫ জনকে আটক করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
Leave a Reply