চট্টগ্রামের তিন উপজেলার ২৭ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের ২৭ ইউনিয়নের মধ্যে রয়েছে- পটিয়ার ১৭টি, কর্ণফুলীর চারটি ও লোহাগাড়ার ছয়টি। এরমধ্যে পটিয়ার তিন, লোহাগাড়ার দুই এবং কর্ণফুলীর একটি করে ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তারা সবাই আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী।
এবারের নির্বাচনে ২৭ ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছেন চার লাখ ৯২ হাজার ৬১৭ জন। ২৪৯টি ভোটকেন্দ্রে কক্ষ রয়েছে এক হাজার ৪৬১টি। সরেজমিন পটিয়ার বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে লাইন ধরে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। শুরুতে নারী ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল, তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়ছে। নির্বাচনের মাঠে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।
এই উপজেলায় এখন পর্যন্ত অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভোটকেন্দ্র থেকে অল্প দূরত্বে জট পাকিয়ে প্রচারণা করছেন বিভিন্ন প্রতীকের প্রার্থীরা।জঙ্গলখাইন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার মো. ইছহাক জাগো নিউজকে বলেন, ‘একটু সকাল সকাল চলে আসছি। তাড়াতাড়ি ভোট দিয়ে বাড়িতে চলে যাবো। পরে গণ্ডগোল হতে পারে।’
কেন্দ্রটিতে দায়িত্বপালন করা পুলিশ কনস্টেবল মাঈনুদ্দীন জাগো নিউজকে বলেন, ‘সকাল ৮টার আগেই কেন্দ্রে ভোটার চলে এসেছেন। নির্ধারিত সময় ৮টায় ভোট শুরু হয়েছে। ভোটাররা আসার পর তাদেরকে আমরা নির্ধারিত লাইনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছি। এই কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট চলছে।’
চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনী সরঞ্জাম গতকাল (শনিবার) কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানো হয়েছে। তবে ইভিএম মেশিন ও ব্যালট পেপার আজ (রোববার) সকালে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনে ১৯ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন। এছাড়া পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা কাজ করছেন। যে কোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করা হবে।’
Leave a Reply