সংবাদ রিপোর্ট: সেনাবাহিনী প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, খাদ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে সেনাবাহিনী। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী পদক্ষেপ এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। এরই ধারাবাহিকতায় পুকুর ও জলাভূমি ব্যবহার করা হচ্ছে মাছ এবং হাঁস চাষের জন্য। বিভিন্ন প্রকার খামার ছাড়াও বায়োফ্লক পদ্ধতিতে উৎপাদিত হচ্ছে শিং ও তেলাপিয়া মাছ।১২ মে বৃহস্পতিবার সাভার এরিয়ায় কৃষিপণ্য উৎপাদন প্রতিযোগিতা-২০২২ পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় সকল সেনানিবাসে কৃষি ভিত্তিক উৎপাদন দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে এবং বাণিজ্যিক কৃষিতে উত্তরণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ প্রয়াস আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। সেনাবাহিনীর সকল এরিয়া মৌসুমভিত্তিক অব্যবহৃত পতিত জমি কৃষিকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সেনানিবাসের সকল অনাবাদী জমিতে, এমনকি প্রতিটি বাসা-বাড়ির আনাচে-কানাচে লাগানো হয়েছে বনজ, ওষধি ও ফলের গাছ। উন্মুক্ত স্থানে চাষ করা হচ্ছে নানা জাতের মৌসুমী ও বারোমাসি ফল। এসময় তিনি সেখানে একটি পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন ও বৃক্ষরোপণ করেন। সব শেষে তিনি সাভার ডিওএইচএস এলাকায় স্থাপিত সেনা পাবলিক স্কুল ও কলেজ এর নামফলক উন্মোচন করেন।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলম, এসবিপি, ওএসপি, এসইউপি, মেজর জেনারেল মো. মোশফেকুর রহমান, এসজিপি, এসইউপি, এনডিসি, পিএসসি, এ্যাডজুটেন্ট, জেনারেল মেজর জেনারেল মো. খালেদ আল-মামুন পিবিজিএম, এনডিসি, পিএসসি, সামরিক সচিব এবং মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক, বিএসপি, এনডিসি, এইচডিএমসি, পিএসসি, জিওসি, ৯ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার সাভার এরিয়া।
Leave a Reply