সংবাদ ডেস্ক : কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ী ও দুর্গাপুর ইউনিয়নে কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ ঘটনায় দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অবস্থিত দুটি কেন্দ্রসহ ওই ইউনিয়নের চারটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে । রবিবার ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে বুড়াবুড়ী ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহিন মিয়া এবং দুর্গাপুর ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা আহসান হাবিব এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়রা জানান, দুপুরে বুড়াবুড়ী ইউনিয়নের কাশেমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্র দখল নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান খন্দকারের সমর্থকদের সঙ্গে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মতিউর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। একইভাবে দারুল আরকাম ইফতেদায়ি মাদরাসা কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তবে কোন প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহিন মিয়া বলেন, ওই ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তিনি আরও বলেন, সাময়িক একটা ঝামেলা হয়েছিল, পরে সেটা সমাধান হয়েছে। অল্প সময়ের জন্য ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকলেও পরে তা স্বাভাবিক হয়েছে।
এদিকে দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অবস্থিত দুটি কেন্দ্র থেকে সিল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন কেন্দ্র দুটির দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে ব্যালট পেপার ও সিল ছিনিয়ে নেয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ঘটনার পর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম ও পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলেও ওই দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা। পুলিশ সুপার বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছেন। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের বারবার আশ্বস্ত করলেও তারা ভোট গ্রহণ স্থগিত করে দিয়েছেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম রাকিব বলেন, দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি ভোটকেন্দ্র এবং গোপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কামালখামার মাদরাসা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
Leave a Reply