1. kamruzzaman78@yahoo.com : kamruzzaman Khan : kamruzzaman Khan
  2. ssexpressit@gmail.com : savarsangbad :
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন

আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, গ্রেপ্তার ২

  • আপডেট সময় : রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

আশুলিয়া প্রতিনিধি: আশুলিয়ায় পোশাকশ্রমি জাহিদ ওরফে জসিমকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় আরও তিন যুবক পালিয়ে যায়। ১১ ফেব্রুয়ারী শনিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ আফজালুল হক। এর আগে শনিবার সকালে আশুলিয়ার সরকার মার্কেট এলাকার নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশ থেকে মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার সময় ওই দুই যুবককে হাতে নাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে রকি আহমেদ (২৯) ও আশুলিয়ার জামগড়া বটতলা এলাকার এমারত হোসেনের ছেলে ইয়ার হোসেন (১৯)। পলাতক রয়েছেন গাজিরচটের বুলেটের ছেলে ময়নুল ইসলাম বুলেটসহ অজ্ঞাত আরও দুই জন। ভুক্তভোগী পোশাক শ্রমিক জাহিদ ওরফে জসিম লালমনিরহাট জেলা সদরের খোরাগাছ এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে। তিনি জামগড়া এলাকার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১০ শুক্রবার ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে জসিম তার পরিচিত লোকের সাথে রুপায়ন মাঠের ১ নং গেটে দেখা করতে যান। এসময় গ্রেপ্তারা জসিমকে কথা আছে বলে রুপায়ন মাঠের ভিতরে নিয়ে মারধর করে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা নাই বলে জানিয়ে দিলে জসিমের কাছ থেকে তার বাবার মোবাইল নম্বর নিয়ে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরে জসিমের বাবা তার আত্মীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ করলে তারা থানায় খবর দিয়ে মুক্তিপণের টাকা দিতে রাজি হন। পরে মুক্তিপণের টাকা নিতে আসলে পরিকল্পনা অনুযায়ী পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় অপহরণের শিকার জসিমকেও উদ্ধার করা হয়। এব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ আফজালুল হক বলেন, তাদের দেওয়া ঠিকানামত মুক্তিপণের টাকা নিয়ে আমরা উপস্থিত হই। গ্রেপ্তার দুই জন মোটরসাইকেল নিয়ে মুক্তিপণের টাকা নিতে এসেছিল। আমরা ভুক্তভোগীর স্বজনের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকাও দেই। টাকা পেয়ে মইনুল হোসেনকে ফোন করে ভুক্তভোগীকে ছেড়ে দিতে বলে রকি। কথামত জসিমকে ছেড়েও দেয় ময়নুল। তাকে গতকাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত রূপায়ন মাঠের একটি পরিত্যক্ত ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। ভুক্তভোগীকে ছেড়ে দিতে বলার পর তাদের আমরা গ্রেপ্তার করি।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ :