আশুলিয়া প্রতিনিধি : আশুলিয়ায় একটি কারখানার ভেতর থেকে সাইফুর রহমান (৩৩) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ওই কারখানায় জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯ মার্চ শনিবার দুপুর ২টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়ার বটতলা এলাকার আব্দুল হাসনাতের মালিকানাধীন বাগদাদ প্যাকেজিং কারখানার ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আত্মহত্যার আগে ওই যুবক একটি চিঠি লিখে যান। যেখানে তিনি তার স্ত্রীকে নতুন সংসার করার ইঙ্গিত দিয়ে লেখেন, খুব দ্রুত সংসারজীবন শুরু করবা। আমার জন্য দোয়া করবা আল্লাহ যেন আমাকে ক্ষমা করে দেন। নিহত সাইফুর রহসান লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার পূর্ব শেখেরপুড়া এলাকার মৃত বদিউর রহমানের ছেলে। জানা গেছে, সাইফুর প্রায় ১ মাস আগে বিয়ে করে সংসারজীবন শুরু করলেও কারখানার ভেতরে একটি রুমে থাকতেন আর নববিবাহিতা স্ত্রী থাকতেন গ্রামের বাড়িতে। চিরকুটে তিনি লেখেন- আমার কারো ওপর কোনো মান-অভিমান, রাগ নেই। আল্লাহর জন্য আমি সবাইকে ভালোবাসি। আমার এই লাশ আমার মায়ের কাছে পৌঁছিয়ে দিবেন বা দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন আল্লাহ্ আমার জীবনে করে যাওয়া কোনো কাজের জন্য উসিলা হিসেবে কবুল করে আমাকে মাফ করে দেন। রফিক দুলাভাই অনেক ভালো লোক। যখনই আমি কোনো সমস্যায় পড়তাম তখন রফিক ভাইয়ের কাছে গেলে আপন ভাইয়ের মতো পাশে দাঁড়াতেন। বুকে আগলিয়ে রেখে পরামর্শ দিতেন। ভাই আপনি সাইমুনকে আপনার ছোট ভাইয়ের মতো আগলিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন। সাইমুন তুমি রফিক ভাইকে বাবার মতো সম্মান করবে। আমার জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন আমাকে মাফ করে দেন।নিহতের মামা কারখানা মালিক আব্দুল হাসনাত জানান, তার ভাগিনা খুবই পরহেজগার ছিল। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। কারো সাথে বিরোধ ছিল না। তবে কেন সে আত্মহত্যা করলো এ ব্যাপারে তিনি কিছুই বলতে পারেন না। পুলিশ জানায়, কারখানার শ্রমিকদের খবরের ভিত্তিতে ওই কারখানার একটি কক্ষের দরজা কেটে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply