আশুলিয়া প্রতিনিধি : আশুলিয়ায় কখনো পুলিশ কর্মকর্তা কখনো আবার সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আশা উদ্দিন (৫০) নামে এক প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। ৪ মার্চ শুক্রবার বিকেলে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়ন থেকে তাকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। আটক আশা উদ্দিন প্রতারণার মাধ্যমে দোকান থেকে পণ্য বাকিতে নিয়েছেন এবং ট্রাকে করে মালামাল নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। আশা উদ্দিন নড়াইল জেলার কালিয়া থানার খররিয়া গ্রামের সাইফুদ্দিনের ছেলে। তিনি শিমুলিয়ার কলেজপাড়ার ফিরোজ আলমের বাড়িতে স্ত্রী নার্গিস বেগমসহ ভাড়া থাকতেন। তিনি আগে রাজধানীর বারিধারার ডিপ্লোমেটিক জোনে সিকিউরিটি হিসেবে কাজ করতেন বলেও জানা গেছে। ভুক্তভোগীরা বলেন, আশা উদ্দিন নিজেকে কখনো পুলিশ, কখনো সেনা কর্মকর্তা আবার কখনো মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিতেন। বিভিন্ন গল্প শুনিয়ে এলাকাবাসীর কাছে বিভিন্ন অফিসার হিসেবে নিজেকে জাহির করতেন। কখনো মুক্তিযুদ্ধে কীভাবে যুদ্ধ করেছেন, আসামি কীভাবে ধরেছেন এমন বানোয়াট গল্প বলে সবাইকে বিশ্বাস করাতেন। এমন গল্প শুনিয়ে বেশ কয়েকটি দোকান থেকে হাজার হাজার টাকার পণ্য বাকিতে নিয়েছেন। দিলিপ কর্মকার নামে এক ব্যক্তি বলেন, ছেলেকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৭ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। পরে আমি তাকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা দিয়েছি। কিন্তু দেড় বছর পার হলেও ছেলেকে চাকরি নিয়ে দিতে পারেনি। হঠাৎ জানতে পারি তিনি এলাকা ছেড়ে চলে যাবেন। তাই তাকে খুঁজে বের করে পুলিশে খবর দেই। ৩ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে তিনি পরিবারসহ ট্রাকে মালামাল নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। ভুক্তভোগী নূর মোহাম্মদ বলেন, সরকারি অফিসে ছেলেকে পিয়নের চাকরি নিয়ে দিবেন বলে আমার কাছে ১০ লাখ টাকা নেন। আরও ৪ লাখ টাকা ধার হিসেবে নেন। কিন্তু এরপর থেকেই তার কোনো দেখা মেলে না। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় তাকে আটক করি। আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তানিম হোসেন বলেন, চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে টাকা আতসাৎ করার কথা তিনি স্বীকার করেছেন। তবে পুলিশ বা কোনো কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply